গলদা চিংড়ির অর্থনৈতিক গুরুত্ব

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

বাংলাদেশে স্বাদুপানিতে যে সকল প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায় তার মধ্যে গলদা চিংড়ির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অত্যধিক। বাংলাদেশে প্রায় ২৭ প্রজাতির স্বাদু পানির চিংড়ি পাওয়া যায় এর মধ্যে গলদার আকার-আকৃতি সর্ববৃহৎ। প্রাকৃতিকভাবে গলদা চিংড়ির পিএল, জুভেনাইল এবং পরিপক্ব চিংড়ি সাধারনত দেশের দক্ষিনাঞ্চলে আধালবণাক্ত পানিতে পাওয়া যায়। গলদা আধালবণাক্ত পানিতে ডিম ছাড়ে এবং লার্ভা এ এলাকায় প্রতিপালিত হয়। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক নিয়মেই চিংড়ি পোনা খাল, বিল, প্লাবনভূমিতে বা প্লাবিত ধানক্ষেতে প্রবেশ করে এবং সেখানেই বড় হয়। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বর্তমানে দেশের নদ-নদীতে গলনা চিংড়ি বা গলদার চিংড়ির পোনা কমে যাচ্ছে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে গলদা চিংড়ির চাহিদা ও মূল্য ক্রমাগতভৰে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে গলদা চিংড়ি চাষ এলাকা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গলদা চিংড়ি বাজারজাতকরণে প্রায় ৮-৯ মাস সময় লাগে । দেশে গলদা চিংড়ির বর্তমান গড় উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৪০০-৭০০ কেজি। এ উৎপাদন অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত কম। 

Content added By
Promotion